মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

কুড়বা কুড়বা কুড়বা লিহ্যে / ড. মোহাম্মদ আমীন


বহুল প্রচলিত আর্যার উদাহরণ হিসেবে ভূমির ক্ষেত্রফল পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত নিচের আর্যাটি একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল।“কুড়বা কুড়বা কুড়বা লিহ্যেকাঠায় কুড়বা কাঠায় লিহ্যেকাঠায় কাঠায় ধুল পরিমাণবিশ গন্ডা হয়ে কাঠার প্রমাণগন্ডা বাকি থাকে যদি কাঠা নিলে পরষোল দিয়ে পুরি তারে সরা গন্ডা ধর।”মর্মার্থ : কুড়বা দিয়ে কুড়বাকে গুণ করলে হবে বর্গ কুড়বা, কাঠাকে কুড়বা
দিয়ে গুণ করলে বর্গ কাঠা, কাঠাকে কাঠা দিয়ে গুণ করলে পাওয়া যাবে ধূল যা ২০ বর্গ কাঠার সমান। অবশিষ্ট যদি থাকে তাকে ১৬ দিয়ে গুণ করলে বর্গ গন্ডা বের হয়। গণ্ডা ও পণ অস্ট্রো-এশিয়াটিক শব্দ।বাংলাদেশের বগড়া জেলার মহাস্থানগড় উৎখনন এলাকায় প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে দেখা যায়, ৩০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকেই এই এককগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ধরণের হিসাবকে লোকগণিত বলা হয়। লোকগণিতের প্রচলন কেবল প্রাচীন ভারতেই নয়, বাংলায়ও বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে নগরায়ণ, যান্ত্রিক উন্নয়ন ইত্যাদির কারণে লোকগণিতের চর্চা, ব্যবহার ও প্রচলন কমে এলেও গ্রামবাংলার মানুষের কাছে এখনও জনপ্রিয়।

বিসিএস, যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, বাংলা শেখা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ঋদ্ধতায় অত্যাবশ্যক কয়েকটি লিংক:

শুবাচ লিংক
————————————————-

শুবাচ বাংলা ভাষার আয়না / রেজাউল করিম



শুবাচ হলো বাংলা ভাষার আয়না।আয়নায় যেমন আমরা
আমাদের চেহারা দেখে থাকি, শুবাচের আয়নায় বাংলাভাষার শুদ্ধ বানান শুদ্ধ ভাষা দেখতে পাই। বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, ভাষা সুন্দর করে বলা লেখার ক্ষেত্রে শুবাচ এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করছে 
বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বপ্ন স্বার্থক হবে। আর এজন্য প্রয়োজন ভাষাচর্চা করা। অতএব শুবাচের সদস্য হওয়ার বিকল্প নেই 
মানুষের কাছে যেসব বিষয় তার প্রাণের মতোই প্রিয়, মাতৃভাষা তার মধ্যে অন্যতম। ধন্যবাদ জানাই শুবাচের প্রতিষ্ঠাতা জনাব . মোহাম্মদ আমীন মহোদয়কে। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মায়ের ভাষাকে সুন্দর করে বলতে লিখতে পারছি। 
আমরা যেরকম গভীর ভালোবাসা দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমাদের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি, ঠিক সেরকম শুবাচের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোহাম্মদ আমীন স্যারের সুস্থতা দীর্ঘজীবন কামনা করার জন্য শুবাচিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি