মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আয়লা নদীর নামকরণ / ড. মোহাম্মদ আমীন

আয়লা নদী
আয়লা নদী, আয়লা চাঁদখালির নিকট দিয়ে বিঘাইর সাথে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়েছে। কথিত হয়, ত্রয়োদশ শতকের মধ্যভাগে এনদীর তীরে আয়জল খান নামক এক দরবেশ একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।মসজিদ নির্মাণের পর এখানে লোকসমাগম বাড়তে থাকে এবং ক্রমশ এলাকাটি গঞ্জে পরিণত হয়। দরবেশের নামানুসারে নদীর নাম রাখা হয় আয়জলখা, যা ক্রমশ পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়লা নামে স্থিতি লাভ করে। আবার অনেকে মনে করেন, আয়লা শব্দের অর্থ শুশুক। নবম শতকের দিকে আয়জল খাঁ নামের এক মুসলিম সাধক সূদর ইরাক হতে শুশুকের পিঠে চড়ে মালদ্বীপ যান। দরবেশ মালদ্বীপ হতে আইলার পিঠে চড়ে আলোচন্য নদী দিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। আইলায় চড়ে এসেছিলেন বলে নদীটির নাম হয় আইলা বা আয়লা। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের দিবেহী ভাষায় এখনও 'আইলা' শব্দ দিয়ে ডলফিন বা শুশুকজাতীয় জলচর প্রাণী প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশের আদি আঞ্চলিক ভাষায়আয়লাবাআইলাশব্দটি ডলফিন বা শুশুক বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।  আবার অনেকে মনে করেন, আয়লা শব্দের স্থানীয় অর্থ ছিল আসিলেন বা আইলেন। দরবেশ নদীপথ দিয়ে এসেছিলেন। তাই এর নাম হয় আয়লা। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রবাদ হচ্ছে, নদীতে একসময় আইলা বা আয়ইলা বা শুশুক দেখা যেত। তাই নদীটির নাম আয়লা।
সূত্র : বাংলাদেশের নদ নদীর নামকরণ, ড. মোহাম্মদ আমীন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন